ক্লাউড কম্পিউটিং:
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিশেষ পরিসেবা বা একটা ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স শেয়ার, কম্পিউটিং সেবা, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার প্রভৃতি সেবা সহজে ক্রেতার সুবিধা মতো, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করা বা ভাড়া দেওয়া হয়।
উদাহরণ: AWS, Azure, Google Cloud, Dropbox ইত্যাদি।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সার্ভিস মডেল ব্যাখ্যা কর:
ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমান বিশ্বে এক আলোড়নের নাম। এই সার্ভিস বা সেবার অবদানে
আজ বিশ্বব্যাপী তথ্য ও প্রযুক্তির বিস্ময়কর উন্নতি সাধিত হচ্ছে । ক্লাউড কম্পিউটিং এর
এই সেবা বা সার্ভিস মডেল তিন ধরনের হয়ে থাকে। নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো:
১। অবকাঠামোগত সেবা: সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, সিপিইউ,
স্টোরেজ ইত্যাদি কম্পিউটিং রির্সোস ভাড়া দেয়।
২। প্লাটফর্ম ভিত্তিক সেবা: ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেজ ইত্যাদি ভাড়া দেয়।
৩। সফটওয়্যার সেবা: সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা এপ্লিকেশন গুলো ক্লায়েন্টগন ব্যবহার করতে পারেন
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা সমুহ:
১। যেকোনো স্থান থেকে যেকোন সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউড সেবা গ্রহণ করা যায়।
২। বিভিন্ন ধরণের রিসোর্স (হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ইত্যাদি) শেয়ার করে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির খরচ কমানো যায়।
৩। কোম্পানির অপারেটিং খরচ তুলনামুলক কম।
৪। ক্লাউডে সংরক্ষিত তথ্য যেকোনো স্থান থেকে যেকোন সময় এক্সেস করা যায় এবং তথ্য কীভাবে প্রসেস বা সংরক্ষিত হয় তা জানার প্রয়োজন হয় না।
৫। সহজে কাজকর্ম মনিটরিং এর কাজ করা যায় ফলে বাজেট ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করা যায়।
৬। অধিক নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ সিস্টেম।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা সমুহ:
১। ডেটা, তথ্য অথবা প্রোগ্রাম বা অ্যাপলিকেশন এর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
২। এটি দ্রুতগতি সম্পন্ন নয়।
৩। আবহাওয়াজনিত কারণে বা ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হলে সার্ভিস বিঘ্নিত হয়।
৪। ক্লাউড সাইটটিতে সমস্যা দেখা দিলে ব্যবহারকারীরা তার সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হন।
৫। তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের এবং তথ্য পাল্টে যাওয়ার অর্থাৎ হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬। তথ্য কোথায় সংরক্ষণ হচ্ছে বা কিভাবে প্রসেস হচ্ছে তা ব্যবহারকারীদের জানার উপায় থাকে না।
![]()