অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনঃ
যে পদ্ধতিতে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার পাঠানো হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড বলে। এই পদ্ধতি নির্দিষ্ট সময়ে ডেটা প্রেরণ করে না। প্রতি ক্যারেক্টার (১ ক্যারেক্টার=৮বিট) ডেটা ট্রান্সমিট হওয়ার সময় বিরতির কোনো নির্দিষ্ট সময় থাকে না।
প্রেরক থেকে প্রাপকে প্রতি ক্যারেক্টার পাঠানোর জন্য প্রয়োজন হয় একটি স্টার্ট বিট ও একটি স্টপ বিট, ত্রুটি নির্ণয়ের জন্য স্টপ বিটের সাথে একটি প্যারিটি বিটের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ ডেটা পাঠানোর শুরুতে একটি বিট প্রয়োজন এবং ডেটা স্টপ করতে একটি বিট প্রয়োজন। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে এক ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিশনে টোটাল ১১টি বিট স্থানান্তর হয়।
| অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধাঃ
১। যেকোনো সময় ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা সম্ভব। ২। প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না। ৩। সার্কিট সহজ হয়ে থাকে। ৪। ইন্সটলেশন খরচ তুলনামুলক কম। ৫। ধীরগতির ও কম ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য খুবই উপযোগী। |
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধাঃ
১। একবারের বেশি ডেটা পাঠানো সম্ভব হয় না। ২। বেশি পরিমাণ ডেটা পাঠাতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। ৩। দক্ষতা কম।
|
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহারঃ
১। কম্পিউটার হতে প্রিন্টারে ডেটা স্থানান্তরে।
২। কার্ড রিডার হতে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরে।
৩। কম্পিউটার হতে কার্ড রিডারে ডেটা স্থানান্তরে।
৪। কীবোর্ড হতে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরে।
৫। মডেম থেকে কম্পিউটারেডেটা স্থানান্তরে।
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতাঃ
| প্রকৃত ডেটাঃ ৮ বিট
স্টার্ট বিটঃ ১ টি স্টপবিটঃ ২ টি মোট= ১+৮+২= ১১ দক্ষতাঃ = (৮/১১)×১০০ =৭২.৭২% |
উদাহরণ: অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহার করে 20KB ডেটা ট্রান্সমিশনের দক্ষতা নির্নয়।
সমাধান: প্রকৃত ডেটা বিট = 20KB×1024=20480B =20480×8=163840bit প্রতি Byte ডেটা বিট প্রয়োজন =20480×3=61440 bit মোট ডেটা বিট = প্রকৃত ডেটা বিট + ওভারহেড ডেটা বিট = 163840 bit + 61440 bit = 225280 bit সুতরাং, দক্ষতা = (163840/225280) × 100% = 72.72% অর্থাৎ যে পরিমাণ ডেটাই ট্রান্সফার করা হোক না কেনো অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা হবে 72.72% . |
![]()