সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনঃ
যে পদ্ধতিতে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সমান সময়ের ব্যবধানে ব্লক অনুযায়ী পাঠানো হয় তাকে সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলে ।
সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনে প্রতি ব্লকে ডেটা ৮০ থেকে ১৩২ বাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে । এই বক্ল সংখ্যা ১২৮, ২৫৬, ৫০১২, ১০২৪, ২০৪৮ এরকমও হতে পারে। এই সিস্টেমে স্টার্ট ও স্টপ বিটের প্রয়োজন হয় না, তাই কোনো বিরতি ছাড়াই ডেটা ট্রান্সফার করে থাকে। তবে এই ট্রান্সমিশনে ২ বাইট হেডার ইনফমেশন ও ২ বাইট টেলার ইনফরমেশন থাকে।
| সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধাঃ
১। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাসের তুলনায় অনেক বেশি। ২। ট্রান্সমিশন গতি অনেক বেশি তাই ডেটা ট্রান্সফারে সময় কম লাগে। ৩। প্রতি ক্যারেক্টারের শুরুতে Start bit এবং শেষে Stop bit এর প্রয়োজন হয় না এতে ডটা ট্রান্সমিশন গতি অনেক বেশি হয়ে থাকে। ৪। অনেক বেশি পরিমাণ ডেটা স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে, এই পদ্ধতিটি বেশি উপযুক্ত। |
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধাঃ
১। প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। ২। জটিল সার্কিট হয়ে থাকে। ৩। অনেকটাই ব্যবহুল।
|
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহারঃ
১। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশনে ।
২। এক স্থান থেকে অনেক দূরবর্তী কোন স্থানে ডেটা ট্রান্সমিশনে ।
৩। একসাথে একাধিক কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশনে।
৪। দ্রুত গতিতে ডেটা ট্রান্সমিশনে।
| প্রকৃত ডেটাঃ ৮০ বাইট
হেডার বাইটঃ ২ টি টেলার বাইটঃ ২ টি মোট= ২+৮০+২= ৮৪ দক্ষতাঃ = (৮০/৮৪)×১০০ =৯৫.২৩% |
উদাহরণ: সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহার করে 20KB ডেটা ট্রান্সমিশনের দক্ষতা নির্নয়।
সমাধান: প্রকৃত ডেটা বাইট = 20×1024=20480 বাইট। মোট ডেটা বিট = প্রকৃত ডেটা বিট + ওভারহেড ডেটা বিট = 20480 বাইট + 4 বাইট =20484 বাইট সুতরাং, দক্ষতা = (20480/20484) × 100% = 99.98% অর্থাৎ যত বেশি পরিমাণ ব্লক ট্রান্সফার করা হবে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা তত বেশি হবে । |
![]()